পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নে মরহুম বীরমুকিÍযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম গণগ্রন্থাগার এর উদ্যোগে আনন্দ মেলায় চলছে লাকি কুপন ও হাউজি। লাকি কুপনে প্রতিটি টিকিটের মুল্য ২০ টাকা। প্রায় দুই শতাধিক অটো রিক্সা, ব্যাটারী চালিত ভেনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে এই টিকিট। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ, শিশু-কিশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই সর্বশান্ত হচ্ছেন লটারীর নামে এই জুয়ায়। মেলার শুরু থেকে লটারী সার্কাস, যাদু প্রদর্শন, মোটরসাইকেল খেলা, নাগর দোলা থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হাউজি। হাউজিতে প্রতিদিন ২০-২৫ রাউন্ড খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যার প্রতিটি শীটের মুল্য ১ শত টাকা।
লটারী ও হাউজির নামে এমন প্রকাশ্য জুয়ায় প্রশাসনের নীরব ভুমিকা নিয়ে জনসাধারনের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মিনি পিকআপে মোটরসাইকেল, টিভি, বাইসাইকেল, রাইচকুকারসহ বিভিন্ন পুরস্কার নিয়ে জনসাধারনের সামনে প্রর্দশন করে লোভ দেখিয়ে লটারির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন জনসাধারনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। লটারীর ফলাফল প্রতিদিন লোকাল ক্যাবলে সরাসরি প্রচার করছে গভীর রাত পযর্ন্ত। সচেতন নাগরিকগন বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি। মেলা কমিটির সভাপতি রকিবুল হাবিব বাবলা টিকিটের মুল্য বেশি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে (মুঠোফোনে) বলেন, শুরু থেকে আপনাদের প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে মেলা কমিটি নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, এসবের অনুমতি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে। জুয়া বন্ধে অনুমতি পেলে আমরা ব্যাবস্থাগ্রহণ করবো।
লটারির বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহামুদ হাসান বলেন, মেলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে লটারি কিংবা হাউজি খেলার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) গোলাম আযম বলেন, লটারী ও হাউজির অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। উপজেলা প্রশাসন ব্যর্থ হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply